আফ্রিকার দেশগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এমপক্স নামক এক ভাইরাস। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটির বিষয়ে ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কিন্তু এমপক্স ভাইরাস আসলে কী? আর এটি কতটা ভয়ঙ্কর।
সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তানে একজন এম পক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এতে ভারত ও বাংলাদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এদিকে সতর্কতার জন্য ঢাকা এয়ারপোর্টে বসানো হয়েছে ফেস টেম্পারেচারে স্ক্রিনিং বা তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র।
1958 সালে বানরের দেহে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। তখন এর নাম রাখা হয় মাঙ্কি ভাইরাস।
মানুষের শরীরে প্রথম 1970 সালে এই ভাইরাস পাওয়া যায়। সে সময় আক্রান্ত হয় নয় মাসের একটি শিশু।
তবে প্রাণী ছাড়া মানুষের মধ্যেও এই ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় 2022 সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর নাম এম পক্স করার প্রস্তাব করে। অর্থোপক্সভাইরাস নামে পরিচিত ভাইরাসদের একটি জাত এটি। এমপক্স ফ্লুর মতো উপসর্গের পাশাপাশি ত্বকে ফুসকুড়ি বা ফোস্কা সৃষ্টি হতে পারে। গোটা বা স্ফীত অংশ টিতে তরল বা পুঁজ দিয়ে ভরা থাকে। একপর্যায়ে তা ফেটে যায়। এরপর সাধারণত ছোঁয়াচে ধরনের। এছাড়া সঙ্গম ত্বকের সংস্পর্শ, কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে ভাইরাসটি।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রভাব সামান্য দেখা গেলেও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া একশ জনের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, আফ্রিকা এবং এর বাইরে আরও দ্রুত এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই উদ্বেগজনক৷ এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
বক্স ভাইরাসটির দুটি প্রধান ধরন রয়েছে। তবে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করবে এমন কোনও প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কৃত হয়নি।